ভারতের মিজোরাম রাজ্যের বাখতাওয়াং গ্রামের এক লোকের পরিবারকে পৃথিবীর
সবচেয়ে বড় পরিবার বলে ধারনা করা হচ্ছে।তার পরিবারে রয়েছে ৩৯ জন স্ত্রী
আর সন্তানের সংখ্যা ৯৪ জন।শুধু এই পর্যন্তই নয় তার সন্তানদের থেকে তিনি
পেয়েছেন ১৪ জন পুত্রবধূ ও ৩৩ জন নাতি-নাতনী।
জিয়োনা চানা,যিনি একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান,সেই প্রতিষ্ঠানের সব
সদস্যদের একের অধীক স্ত্রী নেয়ার ব্যাপারে অনুমতি দিয়েছে।তার কাছ থেকে
কখনো কোন অভিযোগ শোনা যায়নি পরিবারের অশান্তি নিয়ে বা এত বড় পরিবারের
ভরণপোষন নিয়েও কোন অসুবিধায় তাকে পড়তে হয়নি।
চানার রয়েছে ৪তলা বিশিষ্ট একটি বাড়ি যাতে রয়েছে ১০০টি কক্ষ।গ্রামের
একটি পাহাড়ে তার বাড়িটির অবস্থান।তার পরিবার চত্বরেই রয়েছে তাদের নিজস্ব
খেলার মাঠ,স্কুল,মেরামত কারখানা,পোল্ট্রি ফার্ম আর শাক-সব্জির বিশাল
বাগান।এসব কিছু তার পরিবারের যোগান দিতে যথেষ্ট।‘পৃথিবীর বিশাল’ এই
পরিবারের রাতের খাবারে থাকে ৩০টি মুরগী,প্রায় ৬০ কেজি আলু এবং প্রায় ৭০
কেজি চাল।
চানা বলেন, “আমি নিজেকে ইশ্বরের বিশেষ সন্তান মনে করি।তিনি আমাকে এত
মানুষ দিয়েছেন দেখেশুনে রাখার ও যত্ন করার জন্য।আমি নিজেকে একজন ভাগ্যবান
মনে করি ৩৯ জন নারীর স্বামী হিসেবে আর পৃথিবীর সবচাইতে বিশাল পরিবারের মাথা
হিসেবে”।
পুরো পরিবারটি চলে একটি মিলিটারি নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে।আর এসব
কিছুই দেখা শোনা করেন পরিবারের সবচেয়ে বড় ও পুরোন সদস্য চানার প্রথম
স্ত্রী জাথিয়াঙ্গী।তার বয়স ৬৯ বছর।তিনি সবার কাজের সময়সূচী ঠিক
করেন।পরিবারের সবায় পালা করে ঘরের কাজকর্ম করে থাকেন।এতে থাকে
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা,ধোয়া-মুছা আর রান্না-বান্নার কাজ।
চানা তার কক্ষের পাশেই রাখেন পরিবারের সবচেয়ে কনিষ্ঠ স্ত্রীকে।আর
বাকিদের তার কক্ষ থেকে দূরে।প্রতিরাতে তার স্ত্রীরা পালা করে তার কক্ষে
অবস্থান করেন।চানা এখনো থেমে নেই পরিবারকে বড় করা থেকে।চলছে তার নতুন বউ
খোঁজার চেষ্টা।তিনি বলেন, “পরিবারকে বড় করতে আমার ইচ্ছা আছে প্রয়োজনে
বিয়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রেও যাওয়ার”।
0 comments:
Post a Comment